বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ১৮ ডলার থেকে বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন

পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরের ইতিহাসে বিশ্ববাসী পূর্ব পাকিস্তানের শুধু নেতিবাচক খবর দেখে এসেছে। যেমন বন্যা , খরা, সাইক্লোন, মহামারী, অভাব-দুর্যোগ ইত্যাদি। জনসংখ্যার ভারে নুয়ে পড়া এই ছোট দেশটির কোনো প্রাকৃতিক সম্পদ নেই, শুধু আছে অনবরত প্রাকৃতিক বিপর্যয় আর দারিদ্রতার অনমন। তাই সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত এ দেশটির ভবিষ্যৎ অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহের অন্ত ছিল না অনেকের। সংশয়বাদীদের কেউ কেউ এমনও পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, এ দেশটি বেশিদিন টিকবে না। বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা সদ্যপ্রসূত বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শুধু হতাশার বাণী শুনিয়েছিলেন। বিস্তারিত 

বাঙালির মুক্তিযুদ্ধকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছিল যেসব ঘটনা

1900-1947

[শব্দ সংখ্যা ৩৫০০; ছবির সংখ্যা ৩০; পড়তে সময় লাগবে ১৫ মিনিট]

বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ট ঘটনা ‘মুক্তিযুদ্ধ’ হঠাৎ করে আসেনি। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে যেসব ঘটনা বাঙালি জাতির এই মুক্তিযুদ্ধকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছিল তা না জানলে এই সিরিজটি অপূর্ণ থেকে যাবে। তাছাড়া বাংলাদেশের বর্তমান লোকসংখ্যার ৭০ ভাগ মানুষের জন্ম হয়েছে স্বাধীনতার পর। তাই পাকিস্তানের ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনাবলী সংক্ষেপে এই পর্বে তুলে ধরলাম। বিস্তারিত 

ফিরে দেখা ২০২১

2021 at a glance

২০২১ সালজুড়ে করোনা মহামারি, করোনার ধরন ডেলটা-অমিক্রন, টিকা বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। এর বাইরেও বৈশ্বিক তাপমাত্রা, আফগানিস্তান পরিস্থিতি, মহাকাশ পর্যটনসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে হামলা দিয়ে বছর শুরু হয়েছিল; শেষ হচ্ছে আবার ক্ষমতার কোনো সংঘাত নিয়ে। মাঝে আরও নানা অঘটন ঘটে গেছে। সেই সব ঘটনা প্রবাহের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। বিস্তারিত 

ফিরে দেখা ২০২০

উৎকণ্ঠা, ভীতি, ঘরবন্দি জীবন, অনিশ্চয়তা, আতংক এসব নিয়েই কেটেছে ২০২০। নানা অঘটনের বছর হিসেবে ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বিদায়ী ২০২০ সাল। এসব অঘটনের মধ্যে করোনাভাইরাসের মহামারি অন্যতম। এ ছাড়া ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যা, ইরানে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ভূপাতিত করার ঘটনা, অস্ট্রেলিয়ার দাবানল, বৈরুত বিস্ফোরণ, ব্রেক্সিট চুক্তি, মুসলিম দেশের ইসরাইলের সাথে মৈত্রী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনসহ নানা ঘটনার কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবে ২০২০ সাল। বাংলাদেশের জাতীয় ক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি একদিকে যেমন ছিল অর্জন, তেমনি ছিল নিম্নআয়ের মানুষের জীবনে হাহাকার এবং অনেকের জন্য স্বজন হারানোর বেদনা। বিস্তারিত 

মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের শব্দভাণ্ডার

anatomy

Human body parts vocabulary
মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের শব্দভাণ্ডার

মানব অঙ্গসংস্থানবিদ্যা (Human anatomy) বলতে প্রধানত মানবদেহের গঠন সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে বোঝায়। সামগ্রিক অঙ্গসংস্থানবিদ্যা (একে ইংরেজিতে Topographical anatomy, Regional anatomy বা Anthopotomy-ও বলে) হলো খালি চোখে দৃশ্যমান দৈহিক গাঠনিক পাঠ। মানব দেহ হল একটি মানুষের পূর্ণাঙ্গ দেহ কাঠামো যা মাথা, ঘাড়, ধড় (যাতে অন্তর্ভুক্ত হল বক্ষ এবং পেট), বাহু এবং হাত, পা এবং পায়ের পাতা। মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশের নাম ইংরেজি ও বাংলায় এবং ইংরেজি উচ্চারণ দেওয়া হলো। বিস্তারিত 

হজ ও ওমরাহ

হজ আল্লাহ তাআলার একটি বিশেষ বিধান। হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সমর্থ পুরুষ ও নারীর ওপর হজ ফরজ। হজ সম্পর্কে কোরআন শরিফে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর তরফ থেকে সেই সব মানুষের জন্য হজ ফরজ করে দেওয়া হয়েছে, যারা তা আদায়ের সামর্থ্য রাখে।’ (সুরা আল ইমরান; আয়াত: ৯৭)।

শরীয়তের ভাষায়- শরীয়ত নির্দেশিত বিশেষ পদ্ধতিতে ইহরামসহ, ক্বা’বা শরীরে চর্তুদিকে তাওয়াফ করা, ‘সাফা’ ও ‘মারওয়া’ পাহাড়দ্বয়ের মধ্যস্থলে সাঈ করা এবং মাথা মুন্ডানোকে ওমরাহ বলে৷ এটিকে ‘ওমরা’ও বলা হয়৷ এ সম্পর্কে কোরআন করিমে রয়েছে: ‘নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনাবলির অন্যতম; তাই যারা হজ করবে বা ওমরাহ করবে, তারা এতদুভয়ের প্রদক্ষিণ (সায়ী) করবে।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৫৮)।

বিস্তারিত 

এজাহার (F.R.I.) কী, কেন, কোথায় এবং কিভাবে করে

FIR

কেউ কোনো কারণে কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হলে কিংবা কোনো অপরাধের শিকার হলে প্রথমেই সবার ভাবনায় আসে যে কাছের থানায় গিয়ে প্রতিকার চাইতে হবে। কিন্তু থানায় গিয়ে কীভাবে প্রতিকার চাইতে হবে, তা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তিতে থাকেন। বিশেষ করে থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) নাকি এজাহার করবে, তা নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অনেক সময় বড় কোনো অপরাধ ঘটলেও অনেকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অনেকে পুলিশের কাছে যাওয়াকে ঝামেলা মনে করেন। আবার গেলেও পুলিশের কাছে ঠিকঠাক উপস্থাপন করতে পারে না। ফলে অনেকেই আইনের সঠিক প্রতিকার নেওয়া থেকে বঞ্চিত হন। এতে অপরাধীরা সুযোগ পায় এবং নীরিহ মানুষেরা বারবার অপরাধের স্বীকার হয়।
ফৌজদারী অপরাধের ক্ষেত্রে এজাহার দায়েরের মাধ্যমে মামলার সূচনা হয়। তাই পরবর্তীতে মামলার গতিপ্রকৃতি নির্ধারণে এজাহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে পরিগণিত হয়। ঠিকমতো এজাহার দায়ের করতে না পারায় প্রতিনিয়ত অনেকেই বিচার পাবার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এজাহার রুজু করার জন্য পর্যাপ্ত আইনি জ্ঞান ও দক্ষতা না থাকায় প্রায়ই আমাদের মামলা সংক্রান্ত নানান রকম ঝামেলাপূর্ন পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। তাছাড়া আইনগতভাবে এজাহার লেখার পদ্ধতিও যথেষ্ট জটিল। বিস্তারিত 

জেনারেল ডায়েরি (G.D.) কী, কেন, কোথায় এবং কিভাবে করে

GD

জিডি শব্দটি জেনারেল ডায়েরীর সংক্ষিপ্ত রুপ। প্রতিটি থানায় এবং ফাঁড়িতে একটি ডায়েরীতে ২৪ ঘন্টার খবর রেকর্ড করা হয়। সাধারণ ডায়েরি বা জেনারেল ডায়েরি (জিডি) অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। জিডি বা জেনারেল ডায়েরি হলো কোনো অপরাধ বা ক্ষতি সংঘটনের আশঙ্কাজনিত বিবরণ। বিভিন্ন রকমের সমস্যার কারণে আমাদের পুলিশের কাছে যেতে হয়। কিছু বিশেষ কারণে নিকটস্থ থানায় পুলিশের কাছে ঘটনার সাধারণ বিবরণ লিখিত আকারে পেশ করাকে সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করা বলা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক যে কোনো ব্যক্তি থানায় এটি করতে পারবেন। সাধারণত ডায়েরি (জিডি) করার উদ্দেশ্য হলো সমস্যার বিষয়ে থানাকে অবগত করা যাতে ঘটনার গুরুত্ব অনুসারে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে। বিস্তারিত 

বেসিক ইংলিশ [৪] : ফলের নাম


ফল সম্পর্কে সম্যক ধারণা এবং পরিচিত ও অপরিচিত বিভিন্ন ফলের নাম বাংলা ও ইংরেজিতে শুদ্ধ উচ্চারণে শেখার সুবিধার্থে ছবি ও ইংরেজি উচ্চারণসহ এখানে দেওয়া হল। আশা করি এটি ইংরেজির নতুন শিক্ষার্থীদের কাজে লাগবে।

ফলের সংজ্ঞা ও শ্রেণিবিভাগ
সব রকম ফল একমাত্র গুপ্তবীজী উদ্ভিদেই তৈরি হয়। এসব উদ্ভিদে ফুল থাকে এবং তাতে সাধারণত বৃতি, দল, পুংকেশর ও গর্ভকেশর থাকে। পুংকেশরে পরাগরেণু ও গর্ভকেশরে ডিম্বক তৈরি হয় এবং পরিণত হলে পরাগায়ণ ঘটে। এরপর গর্ভাশয়ের পরিবর্তন ও পরিবর্ধন ঘটে যার পরিণতিতে একটি পূর্ণাঙ্গ ফলের সৃষ্টি হয়। এই ফলের ভিতরে এক বা একাধিক বীজ থাকতে পারে। কোনো কোনো উদ্ভিদে নিষিক্তকরণ প্রক্রিয়া ছাড়াই ফলের সৃষ্টি হয় এবং এসব ফলে কোনো বীজ হয় না। ফলের উৎপত্তির উপর ভিত্তি করে প্রধানত তিনভাগে ভাগ করা যায়।
বিস্তারিত 

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল ও মধ্যম আয়ের দেশ

Developing Countries
জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) সদস্যদেশগুলোকে স্বল্পোন্নত দেশ, উন্নয়নশীল দেশ ও উন্নত দেশ—এই তিন শ্রেণিতে ভাগ করে। ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের কমিটি সিডিপি সম্প্রতি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি দেয়। উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার শর্ত পূরণ করায় বাংলাদেশ এখন আনুষ্ঠানিক আবেদন করতে পারবে। সব ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক উত্তরণ ঘটবে। বিশ্বব্যাংক সদস্যদেশগুলোকে নিম্ন আয়ের দেশ, নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ, উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ এবং উচ্চ আয়ের দেশ—এই চার ভাগে ভাগ করেছে। ২০১৫ সালে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বেরিয়ে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় এসেছে বাংলাদেশ। বিস্তারিত