এই দিনে

ইতিহাসে এই দিনে : ২১ সেপ্টেম্বর
বাংলাদেশ

২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গা সংকটে ‘শক্তিশালী ও দ্রুত’ পদক্ষেপের আহ্বান ট্রাম্পের
মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা বন্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে ‘শক্তিশালী ও দ্রুত’ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আহ্বানের কথা জানিয়েছেন বলে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে দেওয়া ভাষণে মাইক পেন্স মিয়ানমারে ভয়াবহ সহিংসতা, গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া ও বাড়ি থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন করার জন্য দেশটির সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তিনি মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে সহিংসতা বন্ধ এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধনে দীর্ঘমেয়াদী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোরও দাবি জানান।

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে হবে, জুলুম-অত্যাচার চলবে না: প্রধানমন্ত্রী
আগামী নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বারবার দরকার শেখ হাসিনার সরকার—এমন স্লোগান দিলেই চলবে না, আচার-আচরণে সতর্ক থাকতে হবে। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।’ শরণার্থীদের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ প্রয়োজনে একবেলা খেয়েও নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবে। কিন্তু মিয়ানমারকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা তাদের নাগরিক। তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে, নিরাপদ রাখতে হবে। আশ্রয় দিতে হবে। তাদের ওপর জুলুম-অত্যাচার চলবে না।’

১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩

Bangladesh

আরো ঘটনা : বাংলাদেশ
 

জন্ম

bhaduri

শিশিরকুমার ভাদুড়ী
(২ অক্টোবর ১৮৮৯ – ৩০ জুন ১৯৫৯)
বাঙালি অভিনেতা, নাট্যাচার্য

শিশিরকুমার ভাদুড়ী পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার রামরাজাতলায় তাঁর জন্ম। তিনি বঙ্গবাসী স্কুল থেকে ১৯০৫ সালে এন্ট্রান্স, স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে ১৯১০ সালে বিএ এবং ১৯১৩ সালে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ পাস করেন। পেশাগত জীবনের প্রথমে শিশিরকুমার মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট ও বিদ্যাসাগর কলেজে অধ্যাপনা করেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই অভিনয়ের প্রতি তাঁর প্রবল ঝোঁক ছিল এবং অধ্যাপনাকালীন শৌখিনতাবশত তিনি অনেক বাংলা ও ইংরেজি নাটকে অভিনয় করেন। ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট মঞ্চ ছিল তাঁর অভিনয় স্থান। ১৯১২ সালে রবীন্দ্রনাথের বৈকুণ্ঠের খাতা নাটকে অসাধারণ অভিনয় করে তিনি প্রশংসিত হন। ১৯২১ সালে পেশাদার অভিনেতারূপে তিনি ম্যাডান থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত হন এবং ১০ ডিসেম্বর আলমগীর নাটকে নাম-ভূমিকায় অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। কিন্তু ম্যাডান থিয়েটারের সঙ্গে মতানৈক্য ঘটায় মঞ্চ ছেড়ে তিনি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। শরৎচন্দ্রের অাঁধারে আলো ও চন্দ্রনাথ-এর চিত্রায়ণে একই সঙ্গে পরিচালক ও অভিনেতার ভূমিকা পালনের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে।

রঙ্গমঞ্চে শিশিরকুমারের প্রত্যাবর্তন ঘটে ১৯২৩ সালে। এসময় তিনি একটি নাট্যদল গঠন করেন এবং ২৫ ডিসেম্বর ইডেন গার্ডেন্স-ক্যালকাটা একজিবিশনে মঞ্চায়িত দ্বিজেন্দ্রলালের সীতা নাটকে রামচন্দ্রের ভূমিকায় অসাধারণ অভিনয়-প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। ১৯২৪ সালের ৬ আগস্ট নাট্যমন্দিরে মঞ্চায়িত যোগেশ চৌধুরীর সীতা নাটকে শিশিরকুমারের অভিনয়ে অভিভূত হয়ে রসরাজ অমৃতলাল বসু তাঁকে থিয়েটারের নবযুগের প্রবর্তক বলে ঘোষণা করেন। এ নাটকের প্রয়োগ-নৈপুণ্যে তিনি বিলেতি ভাবধারার পরিবর্তে এক নতুনত্বের সূচনা করেন। তিনি কনসার্টের বদলে রোশনচৌকি, আসন-ব্যবস্থায় বাংলা অক্ষর, প্রবেশপথে আলপনা ও পূর্ণকলস, প্রেক্ষাগৃহে চন্দন-অগরু-ধূপের গন্ধ, পাদপ্রদীপের পরিবর্তে আলোক-সম্পাত এবং সীনের পরিবর্তে বক্স্ সেট প্রয়োগ করেন। শিশিরকুমার কর্নওয়ালিস থিয়েটার (বর্তমান শ্রী সিনেমা) মঞ্চেও কাজ করেছেন।

নাট্যমঞ্চে একাধিক নাটকে অভিনয় করে শিশিরকুমার যশস্বী হন। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলি হলো: রঘুপতি ও জয়সিংহ (বিসর্জন, ১৯২৬), যোগেশ (প্রফুল্ল, ১৯২৭), জীবানন্দ (ষোড়শী, ১৯২৭), নাদির শাহ (দিগ্বিজয়ী, ১৯২৮), নিমচাঁদ (সধবার একাদশী, ১৯২৮) এবং চন্দ্রবাবু (চিরকুমার সভা, ১৯২৯)। ১৯৩০ সালে তিনি তপতী নাটকে বিশেষ অভিনয় পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেন। আর্থিক অনটনের দরুণ এ বছরই তিনি স্বীয় মঞ্চ নাট্যমন্দির ছেড়ে স্টার থিয়েটারে যোগ দেন। তিনি অনেক সবাক ও নির্বাক চলচ্চিত্রে সফল অভিনয় করেন। ১৯৩০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিশিরকুমার নিজস্ব নাট্যগোষ্ঠী নিয়ে আমেরিকা যান। পরের বছর ১২ জানুয়ারি তিনি নিউইয়র্কের ভ্যান্ডারবিল্ট থিয়েটারে সীতা মঞ্চায়নের মাধ্যমে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন।

শিশিরকুমার বাংলা রঙ্গমঞ্চের এক কিংবদন্তিতুল্য ব্যক্তিত্ব। নাট্যমঞ্চে তিনি ছিলেন স্বমহিমায় উজ্জ্বল। তাঁর অভিনয় বহু শিক্ষিত যুবককে পেশাদার নাট্যাভিনয়ে যোগদানে উৎসাহ জুগিয়েছে। তাঁর অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৫৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত করতে চাইলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন; বরং তাঁর আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি জাতীয় নাট্যশালা প্রতিষ্ঠা করা এবং এতেই তিনি খুশি হতেন। এ সালে ৩০ জুন বরাহনগরস্থ নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সূত্র: বাংলাপিডিয়া

জন্ম-মৃত্যু : খ্যাতিমান বাঙালি ব্যক্তিত্ব
 
বহির্বিশ্ব

২০১৬ : ইথিওপিয়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলনে নিহত ৫২

ইথিওপিয়ার অরোমিয়া এলাকায় এক ধর্মীয় উৎসবে বিক্ষোভে ৫২ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হ্যাইলেম্যারিয়াম দেসালেন বলেন, বিক্ষোভকারীরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবেই বিক্ষোভ শুরু করে, ফলে প্রাণ হারাতে হয় অনেক সাধারণ মানুষকে। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে এক ভাষণে তিনি সামরিক বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তারা সবসময়ই জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চান। যে ‘অপশক্তি’ তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিক্ষোভে পুলিশ টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে। সেখান থেকেই ছন্নছাড়া হয়ে গেলে পদতলে পিষ্ট হয়ে মারা যায় অনেক মানুষ। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য পুলিশের গুলি করার বিষযটি অস্বীকার করেছেন।

ইথিওপিয়ার রাজধানী আদিস আবাবা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বিশোতু নামে ধর্মীয় উৎসবে মিলিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে সরকার বিরোধী আন্দোলন দানা বেধে উঠলে পুলিশ গুলি ছোঁড়ে। এ ঘটনার পর পরই উৎসবস্থলে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদকারীরা পাথর ও বোতল নিক্ষেপ করে এবং নিরাপত্তা বাহিনী প্রথমে লাঠিচার্জ করে এবং পরে কাঁদানে গ্যাস গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। কাঁদানে গ্যাসের কারণে সৃষ্ট আতঙ্কে পালাতে গিয়ে অন্তত ৫০ জন লোক একটি খাদের ভেতর একজনের ওপর আরেকজন পড়ে যায়। এএফপি’র একজন আলোকচিত্রী ১৫ থেকে ২০টি নিথর দেহ দেখতে পান। যার মধ্যে কয়েকজন নিশ্চিতভাবেই মৃত।
বিশোফতু শহরের একটি পবিত্র হ্রদে বর্ষা ঋতুর বিদায় উপলক্ষে ওরোমো সম্প্রদায়ের ইরিচা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কয়েক হাজার লোক জড়ো হয়। প্রতি বছর ওরোমো অঞ্চলে কয়েক লাখ লোক লেক হারসাদির তীরে ইরিচা উৎসব পালন করে। তারা এ হ্রদটিকে পবিত্র মনে করে।

আরো ঘটনা : বহির্বিশ্ব
 

জন্ম

mohatma-gandhi

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী (মহাত্মা গান্ধী)
(২ অক্টোবর ১৮৬৯ – ৩০ জানুয়ারি ১৯৪৮)
ভারতীয় রাজনীতিবিদ, অহিংস মতবাদী

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী গুজরাটের পরবন্দরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মহাত্মা গান্ধী নামেই বেশি পরিচিত। তিনি সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের ওপর, এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকাশক্তি। তার বাবার নাম করমচাঁদ গান্ধী। তার নাম ছিল মোহনদাস। গুজরাটি প্রথা অনুযায়ী তার পুরো নাম মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। তার মায়ের নাম পুতলীবাঈ। মহাত্মা গান্ধীর বাবা করমচাঁদ গান্ধী ছিলেন পোরবন্দরের দেওয়ান। গুজরাটের ভবনগরের সামালদাস কলেজ থেকে কোনোরকমে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় পাস করেন। ১৮৮৩ সালে মহাত্মা গান্ধী বাবা-মায়ের পছন্দে কস্তুরবা মাখাঞ্জীকে (কাস্তুবাই নামেও পরিচিত ছিলেন) বিয়ে করেন।১৮ বছর বয়সে ১৮৮৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে যান। লন্ডনে তার জীবনযাপন ছিল মায়ের কাছে করা শপথ দ্বারা প্রভাবিত। জৈন সন্ন্যাসী বেচার্জীর সামনে তার মায়ের কাছে শপথ করেছিলেন- মাংস, মদ ও উচ্ছৃঙ্খলতা নয়, হিন্দু নৈতিক আদর্শ পালন করবেন।

১৮৯১ সালে গান্ধী ব্যারিস্টারি পাস করে ফিরে এলেন।কয়েকমাস পরিবারের সাথে রাজকোটে থাকার পর বুম্বাই গেলেন।উদ্দেশ্য ব্যারিস্টারি করা।কিন্তু চার মাসের মধ্যে অর্থ উপার্জনে তিনি সুবিধা করতে পারলেন না। এ সময় দক্ষিণ আফ্রিকার আবদুল্লা কোম্পানির একটি মামলা পরিচালনা করার জন্যে তিনি সেদেশে গমন করেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনি আইন পেশায় যুক্ত হন। সেখানে নিপীড়িত ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার আদায়ে তিনি প্রথমবারের মতো অহিংস শান্তিপূর্ণ নাগরিক আন্দোলনের মতাদর্শ প্রয়োগ করেন। ভারতে ফিরে আসার পর কয়েকজন দুস্থ কৃষক ও দিনমজুরকে সঙ্গে নিয়ে বৈষম্যমূলক কর আদায় ব্যবস্থা এবং বহু বিস্তৃত বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে আসার পর গান্ধী সমগ্র ভারতব্যাপী দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারী স্বাধীনতা, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, বর্ণবৈষম্য দূরীকরণ ও জাতির অর্থনৈতিক সচ্ছলতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে মত প্রচার শুরু করেন। এর সবগুলোই ছিল স্বরাজ তথা ভারতকে বিদেশী শাসন থেকে মুক্ত করতে।১৮৯৪ সালে গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকায় নাটাল ইন্ডিয়ান কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন। এ সংগঠনের মাধ্যমে সেখানকার ভারতীয়দের রাজনৈতিকভাবে সংঘবদ্ধ করেন। ১৯০৬ সালে ট্রান্সভাল সরকার উপনিবেশের ভারতীয়দের নিবন্ধনে বাধ্য করানোর জন্য একটি আইন পাস করে। ১১ সেপ্টেম্বর জোহানেসবার্গে সংঘটিত এক গণপ্রতিরোধে গান্ধী সবাইকে এই আইন বর্জন করতে বলেন।

১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাসে মহাত্মা গান্ধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নির্বাহী দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। তার নেতৃত্বে কংগ্রেস স্বরাজের লক্ষ্যকে সামনে রেখে নতুন সংবিধান গ্রহণ করে। টোকেন ফি দিতে রাজি হওয়া যে কোনো ব্যক্তির জন্য দলের সদস্যপদ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তিনি পার্টিকে একটি অভিজাত প্রতিষ্ঠান থেকে সাধারণ জনগণের দলে রূপান্তর করেন। এর পর একের পর এক জনপ্রিয় কর্মসূচি গ্রহণ করেন। ১৯৩০ সালে ভারতীয়দের লবণ করের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডান্ডি লবণ কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দেন, যা ১৯৪২ সালে ইংরেজ শাসকদের প্রতি সরাসরি ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে বেশ কয়েকবার দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতে কারাবরণ করেন। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য পাঞ্জাব থেকে পশ্চিমবাংলা, বিহার; বিহার থেকে তৎকালীন পূর্ব বাংলার নোয়াখালী, বিক্রমপুরের ফুরশাইল ও লৌহজং ছুটে গেছেন। নোয়াখালীতে তিনি একবার চার মাস অবস্থান করেন।

মহাত্মা গান্ধী সকল পরিস্থিতিতেই অহিংস মতবাদ ও সত্যের ব্যাপারে অটল থেকেছেন। তিনি সাধারণ জীবনযাপন করতেন এবং একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার পোশাক ছিল নিজের হাতে বোনা ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় ধুতি ও শাল। তিনি সাধারণ নিরামিষ খাবার খেতেন। শেষ জীবনে ফলমূলই বেশি খেতেন। আত্মশুদ্ধি ও প্রতিবাদের কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য উপবাস থাকতেন। গান্ধী ছিলেন বহুমুখী লেখক ও সম্পাদক। ১৯৬০ এর দশকে ভারত সরকার গান্ধীর রচনাবলী প্রকাশ করে। শতাধিক খণ্ডে প্রকাশিত এ রচনাবলীতে প্রায় ৫০ হাজার পাতা আছে।
মহাত্মা গান্ধীর চার ছেলে – হরিলাল গান্ধী, মনিলাল গান্ধী, রামদাস গান্ধী ও দেবদাস গান্ধী। গান্ধী বিশ্বজুড়ে মহাত্মা ও বাপু নামে পরিচিত। ভারত সরকারিভাবে তাকে ভারতের জাতির জনক হিসেবে ঘোষণা করেছে। ২ অক্টোবর তার জন্মদিন ভারতে গান্ধী জয়ন্তী হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। ২০০৭ সালের ১৫ জুন জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ২ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি নয়াদিল্লিতে মহাত্মা গান্ধীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যাকারী নাথুরাম গডসে ছিলেন চরমপন্থী হিন্দু মহাসভার অনুসারী।

সূত্র: ইন্টারনেট

জন্ম-মৃত্যু : খ্যাতিমান আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব
 

আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস

international-day-of-non-violence--day

“অহিংসভাবে তুমি গোটা বিশ্বকে আন্দোলিত করতে পারো।”
—মহাত্মা গান্ধী

আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস প্রতিবছর ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে পালিত হয়৷ এছাড়া ভারতে এই দিনটি গান্ধী জয়ন্তী হিসেবে পালিত হয় ৷ ১৫ জুন ২০০৭, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সদস্যবৃন্দ ২ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস করার ব্যাপারে ভোট দেন। এরপর সাধারণ পরিষদ তার সদস্যদের কাছে অহিংসার বার্তা দিয়ে ২ অক্টোবর দিবসটি পালনের ব্যাপারে ঘোষণা দেয় ৷

বিশ্ব থেকে হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি, মারামারি, অসহিষ্ণুতা ও রক্তপাত বন্ধে বিশ্ববাসীকে সচেতন করতে প্রতিবছর ২ অক্টোবর বিশ্ব অহিংস দিবস পালন করা হয়। অহিংসা বলতে বোঝায় হিংসা থেকে দূরে থাকা। হিংসা থেকে দূরে থাকাই এ দিবসের মূল কথা। পৃথিবীর অসহিষ্ণুতা, উত্তেজনা, সহিংসতা বন্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অবিসংবাদিক নেতা মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তাই মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনকে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ভারতে এদিনটি গান্ধী জয়ন্তী হিসেবেই পরিচিত।

দেশেবিদেশে : আজকের ছুটির দিন ও উদযাপনা
 
আজকের উদ্ধৃতি

‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোন ধরনের সমঝোতা হতে দিবে না জাসদ। জাসদ বিএনপি-জামায়াতকে আজীবন দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে রাখবে। ’
হাসানুল হক ইনু : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী (২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮)


আজকের তারিখ ও এখনকার সময় (বাংলাদেশ)

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।