ইতিহাসে এই দিনে : ২৭ সেপ্টেম্বর |
বাংলাদেশ |
![]() ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ শেখ হাসিনার প্রশংসায় বান কি-মুন ও বিসওয়াল
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনসহ বাংলাদেশের মিত্ররা বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তায় অসামান্য অবদান রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এছাড়াও তারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ এবং বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করায় শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্য পদ গ্রহণের ৪০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক উৎসবমুখর পরিবেশে তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা স্থাপনে আপনার ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’ অনুষ্ঠানে বান কি-মুন ছাড়াও জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব আমীরা হক, দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেসাই বিসওয়াল, রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী গেনাদি গাতিলোভ, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত পিটার ওয়েস্টম্যাকট, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিনোদ কুমার, ইউএনডিপি’র প্রশাসক হেলেন ক্লার্ক এবং ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা বক্তব্য রাখেন।
মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই: প্রধানমন্ত্রী
মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভবনা নাকোচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন কেন? এমন কী সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে? কার জন্য মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রয়োজন? এটা কি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমানের দলকে ক্ষমতায় আনতে? স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র অনুযায়ী সংসদের বাইরে থাকা কোন রাজনৈতিক দলের জন্য তার কিছু করার নেই। তিনি বলেন, সংলাপ কি? কার সঙ্গে? সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের সংজ্ঞা কি? এ প্রসঙ্গে কোন দলের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, কেউ নির্বাচন বর্জন করতে চাইলে তা তাদের সিদ্ধান্ত, আমার নয়। তারা নির্বাচনে অংশ না নিলে আমি কি করতে পারি? কোন দল ভুল সিদ্ধান্ত নিলে তার মাসুল তাদেরই দিতে হবে। বিএনপির সঙ্গেই আলোচনায় বসতে হবে: খালেদা জিয়া
বিএনপির চেয়ারপার্সন ও ২০দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের সর্ববৃহত্ রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গেই এই সরকারকে আলোচনায় বসতে হবে। সেই নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। এর বাইরে কোনো নির্বাচন বাংলার মানুষ মানবে না। শনিবার বিকেলে জামালপুর জেলা স্কুল মাঠে ২০ দলের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি দেশ ও গণতন্ত্রের কথা বলে, জনগণের কথা বলে, বিএনপি জনগনের দল। মুক্তিযোদ্ধের দল। এই সর্ববৃহত্ দলের সাথে আলোচনায় বসতে হবে। তা না হলে ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারকে উত্খাত করা হবে।
|
আরো ঘটনা : বাংলাদেশ
|
জন্ম সতীনাথ ভাদুড়ী সতীনাথ ভাদুড়ী তৎকালীন বিহারের পূর্ণিয়ার ভাট্টাবাজারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ইন্দুভূষণের আদিবাড়ি নদীয়ার কৃষ্ণনগরে। ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে জীবিকাসূত্রে পিতা ইন্দুভূষণ পূর্ণিয়ায় চলে আসেন। ১৯২৪ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন্। এরপর পাটনা সায়েন্স কলেজ থেকে আই এসসি পাস করে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে অর্থনীতিতে স্নাতক হন। ১৯৩০ সালে অর্থনীতিতে এম এ পাশ করেন এবং পরের বছরেই পাটনা আইন কলেজ থেকে বি এল পাশ করেন। ১৯৩২ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত সতীনাথ পিতার সহকর্মীরূপে পূর্ণিয়া কোর্টে ওকালতি শুরু করেন। এই সময় নানাবিধ সমাজসেবামূলক কাজেও জড়িয়ে পড়েন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বলিপ্রথা ও মদের দোকানে পিকেটিং আন্দোলন। সাহিত্যচর্চা শুরু হয় এই সময়েই। বাড়ি বাড়ি বই সংগ্রহ করে পূর্ণিয়া গ্রন্থাগার স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেন।
গান্ধীজীর অহিংস অসহযোগ আন্দোলন তাঁকে আকৃষ্ট করে এবং গান্ধিবাদী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। পুলিশের চোখ এড়িয়ে গভীর রাতে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে স্বাধীনতা আন্দোলনের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন ঘরে ঘরে। ১৯৪০ সালের জানুয়ারি মাসে সতীনাথ ভাদুড়ী প্রথমবারের জন্য কারারুদ্ধ হন। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় তিনি দ্বিতীয়বার কারাবাসকালে জেল ভেঙে পালানোর চেষ্টা করেন ; এর ফলে তাঁকে ভাগলপুর সেন্ট্রাল জেলে বদলি করা হয়। এই কারাবাসকালীন সময়ই তাঁর ‘জাগরী’ উপন্যাস রচনার প্রস্তুতিকাল। ১৯৪৪ সালে তিনি তৃতীয়বার কারাবরণ করেন। এই কারাবাসের সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ফণীশ্বরনাথ রেণু, অনাথবন্ধু বসু ,ফণীগোপাল সেন, জয়প্রকাশ নারায়ণ, শ্রীকৃষ্ণ সিংহ, অনুগ্রহনারায়ণ সিংহ প্রমুখ। ১৯৪৫ সালে তাঁর সাড়া জাগানো উপন্যাস ‘জাগরী’ প্রকাশিত হয়। ‘চিত্রগুপ্ত’ এই সাহিত্যিক ছদ্মনামে তিনি পরিচিত ছিলেন।
স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় তিনি কংগ্রেসের একজন সক্রিয়কর্মী ছিলেন এবং পূর্ণিয়া জেলা কংগ্রেসের সম্পাদকের পদে আসীন ছিলেন ; কিন্তু দলের আভ্যন্তরীন কাজকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে ১৯৪৭ সালে কংগ্রেস ত্যাগ করে সমাজতন্ত্রী দলে যোগ দেন। পার্টির দুর্নীতি আর দলাদলি তাঁর অসহ্য বোধ হয়। ১৯৬৫ সালের ৩০ মার্চ সতীনাথ ভাদুড়ীর প্রয়াণ ঘটে। মাত্র আটান্ন বছর বয়সে কোশীর শাখানদীর শ্মশানঘাটে তাঁর মরদেহ ভস্মীভূত হয়ে মিশে গেল পূর্ণিয়ার মাটিতে।
সূত্র: উইকিপিডিয়া
|
জন্ম-মৃত্যু : খ্যাতিমান বাঙালি ব্যক্তিত্ব
|
বহির্বিশ্ব
![]() ২০১৫: সৌদি আরবের মিনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৬৯
সৌদি আরবের মিনায় গত বৃহস্পতিবার (২৪-০৯-২০১৫) পবিত্র হজ পালনের সময় পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬৯ জনে। শনিবার সৌদি আরব সরকারের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ওই ঘটনায় মোট ৯৩৪ জন আহত হয়েছেন বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, নিহত হয়েছেন ৭৬৯ জন। এই সংখ্যা আগে পাওয়া তথ্যের চেয়ে ৫২ জন বেশি। এই ৫২ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সৌদি আরবে ঈদের দিন সকাল ৯টার দিকে মিনায় ‘শয়তানের স্তম্ভে’ পাথর ছুড়তে যাওয়ার পথে পদদলনের ঘটনা ঘটে। সৌদি কর্তৃপক্ষ রোববার বিভিন্ন দেশের নিহত ৬৫০ জনের ছবি প্রকাশ করেছে। তবে এ পরিসংখ্যান প্রত্যাখ্যান করে ইরান দাবি করেছে, মিনার দুর্ঘটনায় অন্তত দুই হাজার হাজি মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১৩১ জন ইরানের নাগরিক। নিহতদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে বেসরকারি বিভিন্ন সূত্রে এ সংখ্যা গত রাত পর্যন্ত ১৩ বলে জানা গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৯৮ জন।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর মক্কার মসজিদ আল হারামে ক্রেন ভেঙে ১০৭ হাজি নিহত হন। খুবই কাছাকাছি সময়ে এমন বড় দুটি দুর্ঘটনার পর সৌদি আরবের হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন উঠেছে। কে নেবে এই দুর্ঘটনার দায়_ এ নিয়েও চলছে তুমুল বিতর্ক। সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি, হাজিরা নির্দেশনা অনুসরণ না করায় ঘটেছে এ ঘটনা। ইরানসহ সৌদিবিরোধী দেশগুলোর অভিযোগ, সৌদি প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই শত শত হাজির প্রাণ গেছে। বিশেষ করে সৌদি আরব সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও গ্র্যান্ড মুফতির বক্তব্য এবং যথাযথভাবে হাজিদের মরদেহ সরিয়ে না নেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অথচ মিনায় হুড়োহুড়ি বা হতাহতের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। গত ২৫ বছরে হজ মৌসুমে মিনায় ‘শয়তানকে পাথর’ মারতে গিয়ে কমপক্ষে আটবার বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়েছেন হাজিরা। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত দুই হাজার হাজি। এর মধ্যে ১৯৯০ সালেই মিনায় মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৪১৬ হাজির। তার পরও কেন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য মিনায় রাখা হয়নি বিশেষ ব্যবস্থা? বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে তোলা এমন জোরালো প্রশ্নের কোনো যুক্তিযুক্ত উত্তর এখনও দিতে পারেনি সৌদি আরব।
অন্যদিকে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘পবিত্র হজের সময়ও সম্পদ ও শ্রেণীগত পার্থক্য পুরোপুরি ঘুচে যায় না।’ এ ছাড়া সৌদি কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা ও উদ্যোগের সমালোচনা করে ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, তারা (সৌদি প্রশাসন) এলাকাগুলো উন্নয়নের নামে আশপাশের পাহাড়গুলোতে বিলাসবহুল হোটেল তৈরি করেছেন। এসব হোটেল-মোটেলের কক্ষ অনেক অর্থে ভাড়া নিয়ে সম্পদশালী মুসলমানরা সরাসরি কাবা শরিফ দর্শনের সুযোগ পান। অন্যদিকে আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক গরিব হাজির রাত কাটে পবিত্র স্থান থেকে দূরে এবং তপ্ত আবহাওয়ার মধ্যেই। কারণ এ থেকে নিজেদের রক্ষা করার মতো সহায় তাদের অনেকেরই থাকে না।’
|
আরো ঘটনা : বহির্বিশ্ব
|
জন্ম ভগৎ সিংহ ভগৎ সিংহের জন্ম পাঞ্জাবের লায়ালপুর জেলার বাঙ্গার নিকটস্থ খাতকর কালান গ্রামের এক সান্ধু জাট পরিবারে। তাঁর পিতার নাম সর্দার কিসান সিংহ সান্ধু ও মায়ের নাম বিদ্যাবতী। ভগতের নামের অর্থ “ভক্ত”। তিনি যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সেটি ছিল এক দেশপ্রেমিক শিখ পরিবার। ভগতের ঠাকুরদাদা অর্জুন সিংহ ছিলেন দয়ানন্দ সরস্বতীর হিন্দু সমাজ সংস্কার আন্দোলন আর্যসমাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ভগতের বয়সী ছেলেরা সাধারণত লাহোরের খালসা হাইস্কুলে পড়াশোনা করতেন। কিন্তু ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের প্রতি এই স্কুলের আনুগত্যের কারণে তাঁর ঠাকুরদাদা তাঁকে এখানে পাঠাননি। পরিবর্তে ভগতের বাবা তাঁকে আর্যসমাজি বিদ্যালয় দয়ানন্দ অ্যাংলো-বৈদিক স্কুলে ভর্তি করেন। মাত্র তেরো বছর বয়সে ভগৎ মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন। এই সময় তিনি প্রকাশ্যে ব্রিটিশ রাজশক্তির বিরোধিতা করেন এবং তাঁর সরকারি স্কুলবই ও বিলিতি স্কুল ইউনিফর্ম পুড়িয়ে ফেলেন। চৌরিচৌরার গণ-হিংসার ঘটনায় কয়েকজন পুলিশকর্মীর মৃত্যু হলে গান্ধীজি আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। এতে হতাশ হয়ে ভগৎ যুব বিপ্লবী আন্দোলনে যোগ দেন এবং সশস্ত্র বিপ্লবের পন্থায় ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসন উৎখাত করার কথা প্রচার করতে থাকেন।
ভগৎ সিং কিশোর বয়সে লাহোরের ন্যাশনাল কলেজে পড়াশুনা আরম্ভ করেন কিন্তু বাল্য বিবাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে যান এবং ‘নওজাওয়ান ভারত সভা’ (ভারত যুব সভা) এর সদস্য হন।এই সংস্থায় ভগৎ সিং এবং তার আর বিপ্লবী সহকর্মীরা যুবকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ইতিহাস শিক্ষক, প্রফেসর বিদ্যালংকরের সাথে পরিচিত হওয়ার মাধ্যমে ভগৎ হিন্দুস্তান রিপাবলিক এসোশিয়েসন এর সাথে যুক্ত হন যেখানে রামপ্রসাদ বিসমিল, চন্দ্রশেখর আজাদ এবং আসফাক উল্লা খানের মত বিশিষ্ট নেতারা ছিলেন। ১৯২৬ সালের অক্টোবর মাসের নবরাত্রিতে লাহোরে বোমা বিস্ফোরিত এবং ভগৎ সিং এই বোমা বিস্ফোরণে জড়িতদের দায়ে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আম্রিস্তার থেকে উর্দু ও পাঞ্জাব পত্রিকায় লিখেন এবং সম্পাদনা করেন। ১৯২৮ সালের অক্টোবর মাসে ‘কৃতি কিষান পার্টি’ একই পতাকাতলে সমগ্র ভারতের বিভিন্ন বিপ্লবী নেতারা একটি সভায় মিলিত হয়েছিল। ভগৎ সিং ওই সভার সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে তার বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডদের জন্য তাকে সমিতির নেতা বানানো হয়।
১৯২৮ সালের ৮-৯ সেপ্টেম্বর ‘হিন্দুস্থান রিপাবলিকান এসোসিয়েশন’ সমগ্র ভারতের বিভিন্ন বিপ্লবীদের নিয়ে দিল্লীতে একটি সভা অনুষ্ঠিত করে। এই সভার সভাপতিত্ব করেন ভগৎ সিং। ওই সমাবেশে তিনি বলেন, ‘অবশ্য আমাদের প্রথম লক্ষ্য দেশকে স্বাধীন করা। কিন্তু মূল লক্ষ্য হলো, ভারতে শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। সমাজতান্ত্রিক ভারতবর্ষই আমাদের স্বপ্ন। বিপ্লবের চেতনা নিয়ে আমরা সেই পথে এগিয়ে যাব।’ এই সভায় ‘হিন্দুস্থান রিপাবলিকান এসোসিয়েশন’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘হিন্দুস্থান সোসালিস্ট রিপাবলিকান এসোসিয়েশন’ নাম দেয়া হয়। ব্রিটিশ সরকার বিপ্লবীদেরকে দমনের জন্য পুলিশকে অধিক ক্ষমতা প্রদান করে ভারত প্রতিরক্ষা আইন পাশ করার সমস্ত প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করে। ১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল সেন্ট্রাল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলিতে আইনটির অধ্যাদেশ পাশ হবার সিদ্ধান্ত হয়। এই আইনকে রুখে দেওয়ার জন্য ভগৎ সিং এর ‘হিন্দুস্থান সোসালিস্ট রিপাবলিকান এসোসিয়েশন’ প্রস্তুতি গ্রহণ করে। দলের নেতা ভগৎ সিং এর নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত হয় ৮ এপ্রিল সেন্ট্রাল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলিতে এর প্রতিবাদে বোমা নিক্ষেপ করা হবে। উদ্দেশ্যটা রক্তপাত ঘটানো ছিল না; তাঁরা চেয়েছিলেন, ভগৎ সিং এর ভাষায় ‘বধিরের কানের কাছে আওয়াজ তুলতে’। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত বোমা নিক্ষেপ করবেন আর দলের অন্যরা তাঁদেরকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিবেন। ৮ এপ্রিল যথাসময়ে ‘বধিরের কানের কাছে আওয়াজ পৌঁছানোর’ জন্য ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর বোমা নিক্ষেপ করে ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক’, ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ শ্লোগান দেন, যে-আওয়াজ ওইভাবে এর আগে কখনো শোনা যায়নি। পলায়নের চেষ্টা না-করে তাঁরা নির্ভয়ে ইস্তাহার বিলি করতে থাকেন। এসময় পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।
জেলে বন্দী থাকাকালে ভগৎ সিং ব্রিটিশ ও ভারতীয় বন্দীদের সমানাধিকারের দাবিতে ৬৩ দিন অনশন করেন। সে সময় ভারতীয় বন্দীদের চেয়ে ব্রিটিশ চোর ও খুনিদের প্রতি অধিকতর ভাল আচরণ করা হত। ৬৩ দিন অনশনের ফলে ব্রিটিশ সরকার নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়। ভগৎ সিং জেলে থাকার সময় ডায়রী লিখতেন। তিনি প্রচুর বই পড়তেন। যে কথাগুলো ভালো লাগত, সেগুলো টুকে রাখতেন নিজের ডায়েরিতে। ১৯৩০-৩১ সালে জেলের মধ্যে ফাঁসির অপেক্ষায় যখন ভগৎ সিং এর দিন কাটছিল সে সময় তিনি ‘why I am An Atheist’ প্রবন্ধটি লিখেছিলেন। ফাঁসির কয়েক মাস পরে ‘The People’ (Lahore, 27 Sept. 1931) নামক পত্রিকায় প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়। ১৯৩০ সালের ৭ অক্টোবর। তিন ব্রিটিশ বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত এক বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ভগৎ সিং, সুখদেব ও রাজগুরুকে অপরাধী সাব্যস্ত করে এবং ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রায় প্রদান করে। অবশেষে ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ সন্ধ্যা ৭ টায় এই তিন বিপ্লবীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
সূত্র: পিএমইন্ডিয়া
|
জন্ম-মৃত্যু : খ্যাতিমান আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব
|
Tourism-day
![]() The best education I have ever received was through travel. —Lisa Ling
Travel has been said to broaden the mind, exploring the world and seeing the broad vistas and cultures that the people of the world offer. Tourism can describe travel for pleasure both foreign and domestic, and has been happening as long as long as mankind. Tourism Day is your opportunity to broad your own world a little, find a location you’ve always wanted to make time to visit, and finally get around to making time to do it. So find your inner traveler and get out there and experience the places you’ve always wanted to see.
Tourism Day was established by The United Nations World Tourism Organization (UNWTO) to promote sustainable, responsible, and universally accessible tourism. Tourism benefits both the tourist and the locations that they visit, and is one of the major drivers of economic growth. To this end they’ve put together the Global Code of Ethics for Tourism, to help increase the benefits of tourism while minimizing its impact and protected the people, cultures, and environments of the locations people go to visit and experience.
Tourism Day is best celebrated by digging into your book of dreams and finding that place in the world you most wish to go. If you’re unable to get yourself there now, plan for the future and take a closer trip to get yourself into the groove of going out, seeing the world, and travelling. If you live in a tourist destination, you can get yourself involved in how tourism works in your area and see what you can do to help protect your local heritage, cultural sites, and help share the wonders and history of your area with those who come to see it.
Ref: Fitness Day
|
দেশেবিদেশে : আজকের ছুটির দিন ও উদযাপনা
|
আজকের উদ্ধৃতি
|
‘মির্জা ফখরুলকে মাঝখানে রেখে ড. কামাল হোসেন ও বি চৌধুরীর উল্লাস প্রকাশ রাজাকারদেরই প্রতিচ্ছবি। কি এমন পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটলো যে, ২০ দলীয় জোটে জামায়াত বহাল থাকা অবস্থায় ড. কামাল হোসেন ও বি. চৌধুরী ফখরুল ইসলামকে মাঝখানে রেখে হাত নেড়ে উল্লাস প্রকাশ করেন। ’
|
আজকের তারিখ ও এখনকার সময় (বাংলাদেশ)