বিভাগের আর্কাইভঃ জাতি, ধর্ম ও সম্প্রদায়

হজ ও ওমরাহ

হজ আল্লাহ তাআলার একটি বিশেষ বিধান। হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সমর্থ পুরুষ ও নারীর ওপর হজ ফরজ। হজ সম্পর্কে কোরআন শরিফে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর তরফ থেকে সেই সব মানুষের জন্য হজ ফরজ করে দেওয়া হয়েছে, যারা তা আদায়ের সামর্থ্য রাখে।’ (সুরা আল ইমরান; আয়াত: ৯৭)।

শরীয়তের ভাষায়- শরীয়ত নির্দেশিত বিশেষ পদ্ধতিতে ইহরামসহ, ক্বা’বা শরীরে চর্তুদিকে তাওয়াফ করা, ‘সাফা’ ও ‘মারওয়া’ পাহাড়দ্বয়ের মধ্যস্থলে সাঈ করা এবং মাথা মুন্ডানোকে ওমরাহ বলে৷ এটিকে ‘ওমরা’ও বলা হয়৷ এ সম্পর্কে কোরআন করিমে রয়েছে: ‘নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনাবলির অন্যতম; তাই যারা হজ করবে বা ওমরাহ করবে, তারা এতদুভয়ের প্রদক্ষিণ (সায়ী) করবে।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৫৮)।

বিস্তারিত 

হিন্দুধর্ম

om

হিন্দুধর্মকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন ধর্ম। জনসংখ্যার বিচারে হিন্দুধর্ম বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ধর্ম, এই ধর্মের অনুগামীদের সংখ্যা ১০০ কোটিরও বেশি। ভারত এবং নেপালের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এছাড়া বাংলাদেশে, মরিশাসে ও ইন্দোনেশীয় দ্বীপ বালিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বাস করেন। জনসংখ্যার বিচারে হিন্দুধর্ম খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলামের পরেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ধর্মমত। ‘হিন্দু’ শব্দটি সিন্ধু নদ থেকে উদ্ভূত হয়েছে। ‘সিন্ধু’ দ্বিতীয় সহস্রাব্দে এ অঞ্চলের অধিবাসীরা আর্যদের দ্বারা ব্যবহৃত একটি সংস্কৃত শব্দ। শব্দটির মাধ্যমে সিন্ধু নদ অববাহিকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে বোঝানো হত। হিন্দুধর্ম একাধিক ধর্মীয় ঐতিহ্যের সমন্বয়ে গঠিত। এই ধর্মের কোনো একক প্রতিষ্ঠাতা নেই। হিন্দুধর্মের প্রচুর শাস্ত্রগ্রন্থের মধ্যে বেদ সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। হিন্দুদের উল্লেখযোগ্য ধর্মানুশীলন পূজা, অর্চনা, ধ্যান, বার্ষিক অনুষ্ঠান এবং তীর্থযাত্রা। হিন্দুধর্মে ঈশ্বরধারণাটি অত্যন্ত জটিল। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন যে মানুষের আত্মা শাশ্বত। হিন্দুধর্মে দৈব ব্যক্তিত্বদের দেব বা দেবী নামে অভিহিত করা হয়। বিস্তারিত 

বিভিন্ন ধর্মের উৎপত্তি, বিস্তার ও বৈশিষ্ট্য

মানুষের লিখিত ইতিহাসের বয়স মাত্র ৫০০০ বছর। তাই এর আগের ধর্মীয় ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা সম্ভব নয়। কালের আবর্তে অনেক ধর্ম হারিয়ে গেছে, আবার অনেক নতুন ধর্মের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বে এখনো টিকে আছে এ ধরনের প্রথম সারির ধর্মগুলোর উৎপত্তি, ব্যাপ্তিকাল ও মৌলিক বৈশিষ্ট এখানে আলোচনা করা হল। বিস্তারিত