ইতিহাস

ইতিহাস
Tuesday, 19th March, 2024

 

Iron age

লৌহ যুগ

মানব সভ্যতার প্রাকইতিহাস ও প্রায়-ইতিহাসের তিনটি যুগের চূড়ান্ত যুগ হলো লৌহ যুগ। এর আগের যুগ হলো প্রস্তর যুগ এবং ব্রোঞ্জ যুগ। ধারণাটি মূলত ইউরোপ এবং প্রাচীন প্রাচ্যের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হলেও এটি প্রাচীন বিশ্বের অন্যান্য অংশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

প্রাগৈতিহাসিক যুগের যে সময়কালে কোন এলাকার ধাতব অস্ত্র ও যন্ত্রপাতি মূলত লোহা দ্বারা তৈরি হত সেই সময়কালকে প্রত্নতত্ববিদ্যায় লৌহযুগ বলা হয়। লোহার ব্যবহার শুরুর সাথে সাথে মানবসমাজে কিছু পরিবর্তন দেখা যায়, যার মধ্যে কৃষিব্যবস্থা, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং শিল্পকলা অন্যতম। প্রাচীন নিকট প্রাচ্যে খ্রিষ্টপূর্ব ১২ শতকে ব্রোঞ্জ যুগের পতনের পরিপ্রেক্ষিতে এই রূপান্তর ঘটেছিল। এই প্রযুক্তি শীঘ্রই সমগ্র ভূমধ্যসাগরীয় অববাহিকা অঞ্চলে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। মধ্য এশিয়া, পূর্ব ইউরোপ এবং মধ্য ইউরোপে এর বিস্তার কিছুটা বিলম্বিত হয়েছিল এবং উত্তর ইউরোপে এটি প্রায় খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ শতকের কাছাকাছি সময়ে পৌঁছেছে।

ইতিহাস লিখনধারা আবিষ্কৃত হওয়ার মাধ্যমে লৌহ যুগের সমাপ্তি হয়। প্রত্নতাত্ত্বিক রেকর্ডে লৌহ যুগের স্পষ্ট সমাপ্তি লক্ষ্য করা যায়নি। তবে প্রাচীন নিকট প্রাচ্যের জন্য ৫৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আচেমেনিড সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাকে ঐতিহ্যগতভাবে এখনও লৌহ যুগের সমাপ্তি ধরে নেওয়া হয়। মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপে খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতাব্দীর রোমান বিজয়গুলি লৌহ যুগের সমাপ্তির চিহ্ন হিসাবে কাজ করে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ার জার্মানিক লৌহ যুগের সমাপ্তি নেওয়া হয় ৮০০ খ্রিস্টাব্দে ভাইকিং যুগের শুরুর সময়কে।

ভারতীয় উপমহাদেশে লৌহ যুগের সূচনা করা হয় লোহার কাজ করা ধূসর মাটির পাত্র সংস্কৃতি দিয়ে। সাম্প্রতিক অনুমান থেকে জানা যায় যে এটি খ্রিস্টপূর্ব ১৫ শতক থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীতে অশোকের রাজত্ব পর্যন্ত বিস্তৃত। দক্ষিণ, পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রত্নতত্ত্বে “লৌহ যুগ” শব্দটির ব্যবহার পশ্চিম ইউরেশিয়ার তুলনায় সাম্প্রতিক এবং কম ব্যবহৃত। চীনে লৌহকর্মের আগে লিখিত ইতিহাস শুরু হয়েছিল, তাই লৌহ যুগ তেমন ব্যবহৃত হয় না।

Ref: Wikipedia, Banglapedia, Newspapers, Internet


স্থাপত্য, ভাস্কর্য্য, শিল্পকর্ম, সংস্কৃতি

Doyel-Chattar

দোয়েল চত্বর

দোয়েল চত্বর ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোর অন্যতম হচ্ছে দোয়েল চত্বর। এর স্থপতি হলেন আজিজুল জলিল পাশা। এটি বাংলাদেশের জাতীয় বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক যা বাংলাদেশের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে।

দোয়েল চত্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ভিতরে কার্জন হলের সামনে অবস্থিত। বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েলের একটি স্মারক ভাস্কর্য। এর স্থপতি হলেন আজিজুল জলিল পাশা। এটি বাংলাদেশের জাতীয় বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক যা দেশের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করে। শাহবাগে অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে দোয়েল চত্বর।

Ref: Wikipedia, Banglapedia, Newspapers, Internet


রেকর্ড/ব্যতিক্রম

big_mango

একটি আমের ওজন ৪ কেজি ২৪৫ গ্রাম

৪ কেজি ২৪৫ গ্রাম ওজনের এই আম পৃথিবীর সবচেয়ে ওজনদার আম হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছে। রেকর্ডটি হয়েছে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে। এর আগে সবচেয়ে বড় আমটি ফলেছিল ২০০৯ সালে, ফিলিপাইনে। সেটির ওজন ছিল ৩ কেজি ৪৩৫ গ্রাম। নতুন রেকর্ডধারী এই আম ফলিয়েছেন কলম্বিয়ার দুই কৃষক রিনা মারিয়া ম্যারোকুইন (উপরের ছবিতে বাঁয়ে) ও জার্মান অরল্যান্ডো নোভোয়া ব্যারেরা। কলম্বিয়ায় সাধারণত বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আম চাষ হয় না।

Ref: Internet, Newspapers


ধাঁধাঁ

সবুজ বুড়ি হাটে যায়, হাটে যাইয়া চিমটি খায়।
এই সবুজ বুড়ির নাম কী?


তথ্য ও ছবির সূত্র: এই পাতার সব তথ্য-উপাত্ত ও ছবি বিভিন্ন বই-পুস্তক, পত্র-পত্রিকা, বাংলাপিডিয়া, উইকিপিডিয়া এবং ইন্টারনেট থেকে সম্পূর্ণ বা আংশিক সংগৃহীত

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।